আমরা কেমন যেন বড্ড বড় হয়ে যাচ্ছি হঠাৎ করেই। সেই ছোট্ট বেলার ভালোবাসা গুলো আস্তে আস্তে বিলুপ্তির পথে। কিন্তু তাও সাহিত্য হলো সমাজের দর্পন, তাইতো এমন গল্পের মধ্যে আবার সেই ছোট্ট বেলাটাতে ফিরে যেতে চাই বারবার। এখনো বহু গল্প পড়ি, কিন্তু সব বড্ড বড়দের জন্য মনে হয়, সেই নির্মল খোলামেলা স্বাদটা আর কোথাও পাই না। কিন্তু অনেকদিন পরে আবার সেই স্বাদটা ফিরে পেলাম “গোবিনের মা” গল্পের মাধ্যমে।
সাগরিকা রায়ের থ্রিলার আর হরর সঙ্গে গোয়েন্দা গল্পের জন্য পাঠক মহলে সুপরিচিত একজন মানুষ। কিন্তু ওনার লেখা সামাজিক এবং শিশু সাহিত্য যে এতটা মনে দাগ কেটে যাবে সেটা হয়তো কল্পনা করিনি। তাই এর জন্য সত্যিই একটা অসাধারণ অনুভূতি তৈরি হলো। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই গল্পের প্রতিটি চরিত্রকে ভালোবেসে ফেলেছি। আর বিশেষ করে ওই ডেকচি টাকে। একটা ভাবনা যেটা অনেক কিছু বলে চলে, আবার অনেক কিছু ভাবতে দেয়। সত্যিই এই ছোট্ট একটি লেখা হৃদয় জিতে নিল। এই রকম লেখা আর কোথাও পড়ার সুযোগ হয়না এখন। সেই ক্লাস ১২ এ থাকতে একবার এই রকম একটা হৃদয়ে দাগ কাটার মতন ছোট্ট গল্প পড়েছিলাম আনন্দবাজার পত্রিকায়, সেটা এখনো মনে আছে। এই গল্পটিও আজ থেকে সেটির পাশে স্থান পেলো।
Welcome to Sagarika Ray Blog.