“এই ফেলি তুরুপের তাস/ ভেসে এল কার পচা লাশ/ পেটে জ্বালা মনে বড় দুখ/ গুনে নিই লাশ টুকটুক।”
তাস খেলতে বসে যে মুহূর্তে ছড়াটা বলে ওঠে সত্যেন মহান্তি, বাকি খেলুড়েরা বুঝে ফেলে আজ আর জিতে ওঠা হল না। আর মহান্তি যখন একান্তে বসে গুনগুন করে গজল গায়, তখন কেউ জানে না মহান্তি কোন জটিল কেসের গভীরে ডুব দিয়েছে। কলকাতার স্ট্র্যান্ড রোডের অফিসে কম্পিউটারের সামনে বসে কী বোর্ডে আঙুল চালাতে চালাতে অফিসের ডাটা এন্ট্রি করে সে। চশমা চোখের ফর্সা লোকটিকে দেখে সাধারণ মনে হলেও সেই লোক অন্যরকম হয়ে যায়, যখন কোনও প্রবলেম সলভ করতে বসে।
হ্যাঁ। সত্যেন মহান্তি প্রবলেম সলভ করতে ভালবাসে। আসলে কোথাও জট দেখলে সেটা না ছাড়িয়ে ও ঘুমোতে পারে না। জিগমে লাকপা নামের ছেলেটি লুকিয়ে দেখা করে বলেছে, “কথা আছে স্যার।” মহান্তি বলেছে, “সন্ধের পরে মেসে এস।”
মহান্তি অপেক্ষা করেছে। লাকপা আর আসেনি! তাকে কখনও দেখতে পায়নি মহান্তি। কেন? বা, শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল যে মেয়ে,সে কোথায় হারিয়ে গেল? তিন বুড়ো কেন বর্ধমানে যাবে? এরকম অনেক প্রশ্নের জবাব নিয়ে এসেছে সত্যেন মহান্তি। এক বুদ্ধিমান পর্যবেক্ষক। যাকে সোজা কথায় গোয়েন্দা বলা হয়
Welcome to Sagarika Ray Blog.
📒 বই : সত্যেন মোহান্তির কেস
🖊️লেখক : সাগরিকা রায়
📌 প্রকাশক : একলব্য প্রকাশন
💰 মূল্য : ৩২৫/
বইটিতে পাঁচটি গল্প আছে।
একটা উপন্যাসিকা আছে আর আছে একটা উপন্যাস।
কিছু বই হয় যেগুলো একবার শুরু করলে থামা যায় না, এই বই ঠিক তেমন ই।
ছোট গল্প গুলো মনের মতো বেশ। যেহেতু শেষ টা একদম অন্যরকম। গোয়েন্দা ঠিক নয়, আবার গোয়েন্দা ও। কিছু ক্ষেত্রে আমি এরকম ই শেষ টা চাই,তেমনটাই আছে এখানে।
উপন্যাস টা ভীষণ ই ভালো। এরকম যদি বাস্তব জীবনেও হতো ভালো হতো বেশ। এরকম ‘ অভিমন্যু ‘ কজন হতে পারে!!
লেখিকা কে এরকম লেখা আরোও লেখার অনুরোধ রইলো।
গল্প –
তালগাছ এক পায়ে
লাশ টুকটুক
ইঁদুরের গর্ত
অন্য চোখ
পারফেক্ট মার্ডার
উপন্যাসিকা –
ভুল নাম্বার
উপন্যাস –
তিন বুড়ো যায় বর্ধমান
বইয়ের বাঁধন মজবুত, পাতা বেশ সুন্দর। পড়তে পড়তে বইয়ের পাতা খুলে গেলে খুব বাজে লাগে। প্রকাশক কে ধন্যবাদ এত সুন্দর যত্ন করে বই টা বানানোর জন্য।